বাংলাদেশে বিধবা ভাতা চালু হয় কত সালে বিস্তারিত জানুন

আর্টিকেলে স্ক্রিনশট যুক্ত করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন [ এ টু জেট ]বিধবা ভাতা চালু হয় কত সালে-আমরা অনেকেই জানিনা বিধবা ভাতা অনলাইনের মাধ্যমে বর্তমানে প্রত্যেকটি নারীকে বাংলাদেশ সরকার অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করে আসছে। কিন্তু অনেকেরই ইচ্ছে জাগে বিধবা ভাতা চালু হয় কত সালে এ বিষয়টি জানতে।
বিধবা-ভাতা-চালু-হয় কত-সালে
তাই আজকের পোস্টে আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিবো বিধবা ভাতা চালু হয় কত সালে এবং বিধবা চালু হওয়ার সময় প্রতি মাসে একজন বিধবা নারীকে কত ভাতা প্রদান করা হয় এবং বর্তমানে কত ভাতা প্রদান করা হচ্ছে এই সকল বিষয় জানিয়ে দিব।

বিধবা ভাতা চালু হয় কত সালে

বিধবা-ভাতা-চালু-হয় কত-সালে
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের জন্য বিধবা ভাতা কার্যক্রম চালু হয় ১৯৯৮ - ৯৯ সালে। এটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রবর্তিত হয়, যার লক্ষ্য দরিদ্র ও অসহায় নারীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়। এটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

বয়স্ক ভাতা কত বছর বয়সে দেওয়া হয়

বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা সাধারণত ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য প্রদান করা হয়। তবে, এটি নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। বর্তমানে,
  • পুরুষদের জন্য বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয় ৬৫ বছর বা তার বেশি।
  • নারীদের জন্য এটি ৬২ বছর বা তার বেশি।
এই ভাতা দেওয়ার জন্য সাধারণত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় আবেদন করতে হয়, এবং সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণের পর এটি প্রদান করা হয়। যেমন পরিবারে আয়ের সীমা এবং স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন।

বিধবা ভাতা কত টাকা দেয়

বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা কত টাকা পাওয়া যায় এ নিয়ে অনেকের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও সমাজসেবা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে জনপ্রতি মাসে ৬০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হয়​ (২০২৩-২৪) এমন তথ্য প্রদান করা হয়েছে। এটি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বিতরণ করা হয়, এবং এর লক্ষ্য হলো দরিদ্র ও অসহায় বিধবাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

বিধবা ভাতা আবেদন ফরম

বাংলাদেশে বিধবা ভাতা (Widow Allowance) প্রাপ্তির জন্য আবেদন ফরম স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়াও, আবেদন ফরমটি অনলাইনে ডাউনলোড করার সুবিধা আছে। নিচে আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হলো --
আবেদন ফরম ডাউনলোড করার উপায় --
  • অনলাইনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বা বিভাগীয় সমাজসেবা অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করতে পারেন।
  • এছাড়া, এই লিংকে গিয়ে সরাসরি আবেদন ফরম পাওয়া যেতে পারে।
আবেদন প্রক্রিয়া --
  • আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করতে হবে।
  • পূরণ করা ফরমটি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সমাজসেবা অফিসে জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র --
  • আবেদন ফরম
  • জন্ম নিবন্ধন
  • পরিবারের আয়ের সার্টিফিকেট।
  • স্বামীর মৃত্যু নিবন্ধন (যদি থাকে)
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যদি কোনো থাকে)
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
  • স্থানীয় চেয়ারম্যান বা মেম্বার কর্তৃক সত্যায়িত নথি।
  • বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ (যেমন, জাতীয় পরিচয়পত্র, রেশন কার্ড ইত্যাদি)
যোগ্যতা --
  • আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
  • তিনি স্বামী হারানো (বিধবা) হতে হবে।
  • দরিদ্র এবং আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল।
  • আবেদন করার পর যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আবেদনকারী মাসিক বিধবা ভাতা প্রাপ্তি শুরু করতে পারেন।

ভাতা কত প্রকার

ভাতা বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রদান করা হয় এবং সরকারি নীতির উপর নির্ভর করে। । এর প্রকারভেদ অনেকগুলি। সাধারণত ভাতাকে নিম্নলিখিত কয়েকটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায় --
স্থায়ী ভ্রমণ ভাতা-- দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করতে হয় এমন কর্মচারীদের জন্য মাসিক ভাতা।
  • দৈনিক ভাতা -- সদর দপ্তরের বাইরে অবস্থানের জন্য প্রতিদিনের নির্দিষ্ট হারে ভাতা।
  • যাতায়াত ও অশ্ব ভাতা -- সদর দপ্তর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে ভ্রমণ করতে হয় এমন কর্মচারীদের জন্য মাসিক ভাতা।
  • মাইল ভিত্তিক ভাতা -- ভ্রমণকৃত দূরত্বের ভিত্তিতে ভাতা।
  • চিকিৎসা ভাতা -- চিকিৎসা খরচের জন্য প্রদান করা হয়।
  • ভ্রমণের প্রকৃত খরচ -- বিশেষ কোন সরকারি কাজে যানবাহন ব্যবহারের জন্য প্রকৃত খরচ।
  • অন্যান্য ভাতা -- প্রেষণ ভাতা, বিদেশ ভাতা, বিশেষ ভাতা ইত্যাদি।
  • বৃদ্ধভাতা -- প্রবীণ নাগরিকদের জন্য নির্ধারিত ভাতা, যা বয়স্ক ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়।
  • বিধবা ভাতা -- যেসব নারী তাদের স্বামীকে হারিয়েছেন এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নন, তাদের জন্য বিধবা ভাতা প্রদান করা হয়।
  • অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা -- শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতার কারণে যারা কর্মক্ষম নন, তাদের জন্য সরকার এই ভাতা প্রদান করে।
  • মাতৃত্বকালীন ভাতা -- গর্ভবতী নারীদের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হয়, যা তাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয়।
  • কর্মসংস্থান ভাতা -- যারা বেকার, বিশেষত তরুণদের কর্মসংস্থানের সুবিধা দেওয়ার জন্য এই ধরনের ভাতা চালু করা হয়।
  • শিক্ষা ভাতা -- নিম্নআয়ের শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য শিক্ষা ভাতা প্রদান করা হয়, যাতে তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।

বয়স্ক ভাতা কত মাস পর পর দেওয়া হয়

বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা প্রতি তিন মাস পর পর (ত্রৈমাসিক) বিতরণ করা হয়। এই ভাতার অর্থ সুবিধাভোগীদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বা মোবাইল ফাইন্যান্সিং সার্ভিসের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশে বিধবা ভাতা চালু হয় কত সালে

প্রিয় পাঠক ,আশা করছি উপরের আলোচনা থেকে এতক্ষণে বুঝে গেছেন যে বিধবা ভাতা চালু হয় কত সালে । এবং ভাতা কত প্রকার ভাতা আবেদন করার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে। এই পোস্টটি যদি পরে আপনি উপকারিত হন তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এবং এই পোস্ট সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট বক্স রয়েছে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর তাড়াতাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করব ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এসএস রাইফেল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url