চুল পড়া সমস্যার সমাধান করুন ঘরোয়া উপায়ে জানুন ২০২৫

কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার  নিয়ম জানুন এ টু জেটআপনি কি চুলপড়া নিয়ে চিন্তিত? চুলপড়া সমস্যার সমাধান করতে পারেন ঘরোয়া উপায়ে। ছেলেদের চুলপড়া সমস্যা রোধ করতে আপনি হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্যটি খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই ঘরোয়া উপায়ে চুলপড়া সমস্যার সমাধান পেতে আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি এই পোস্টটি আপনার চুলপড়া কমাতে অনেক উপকারে আসবে।
চুল-পড়া-সমস্যার-সমাধান-করুন-ঘরোয়া-উপায়ে
নিচের এই পোস্টটিতে আমরা চেষ্টা করেছি চুলের যত্না এবং ঘরোয়া উপায়ে চুলপড়া কমানো সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার এছাড়াও এর সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যেগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাহলে এবার চলুন সেই সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকাঃ চুলপড়া সমস্যার সমাধান করুন ঘরোয়া উপায়ে

চুল-পড়া-সমস্যার-সমাধান-করুন-ঘরোয়া-উপায়ে
মানুষের দৈনন্দিন জীবনের মারাত্বক সমস্যার একটি হলো চুলপড়া। চুল চেহারার সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। আর তাই চুলকে সুস্থ্য ও সুন্দর রাখতে চাই এর দরকারি পুষ্টি উপাদান। চুল ঝড়ে পড়ার মূল কারন হলো চুল পরিষ্কার না রাখা এবং সঠিকভাবে ডায়েট মেনে না চলা।
তেল এবং শ্যাম্পু এর পাশা-পাশি প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে চুলকে সুস্থ্য ও সুন্দর রাখতে। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখা। চুল পড়া সমস্যার পুরোপুরি সমাধান না করা গেলেও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।

সাধারণভাবে বলা হয় যে, চুল বেশি পড়ে জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন রকম অনিয়মের কারণে এ সমস্যা বৃদ্ধি পায়। চুলের প্রতি সচেতন প্রত্যেক মানুষ। তাই সবাই চান চুল ঘন এবং মজবুত হোক। কিন্তু অনেক মানুষ আছেন যাদের চুল পড়ে গিয়ে মাথায় টাক দেখা দেয়। এই সমস্যা নারী এবং পুরুষ উভয়েরই। অনেক মানুষ আছেন যাদের অল্প বয়সে চুল পড়ে মাথায় টাক পড়ে যায়। এই সমস্যার পেছনে অবশ্যই অনেক কারণ রয়েছে। তার জন্য চুল কেন পড়ে সেটা আমাদের জানতে হবে।

একদিনে ৫০ থেকে ১০০ টা চুল পড়লে তা স্বাভাবিক। কিন্তু যখনই এই স্বাভাবিকের থেকে বেশি চুল পড়ে যায় তখন সেটা অস্বাভাবিক ব্যাপার এবং তখন অবশ্যই চুল পড়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। চুল পড়া সমস্যা হতে পারে বংশগত কারনে তাছাড়া থাইরয়েড, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, পুষ্টির অভাব, অধিক পরিমাণে ধূমপান করা, চুল কালার করা, ইত্যাদি কারণে চুলপড়া সমস্যা বেড়ে যায়।

চুল কেন পড়ে?

চুলপড়া ঠেকাতে সবার আগে জানতে হবে চুল কেন পড়ে যাচ্ছে। চুলপড়া রোগকে মেডিকেলের পরিভাষায় বলা হয় অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেশিয়া (Androgenetic Alopecia). এই হরমোনটি আমাদেরকে ছেলে এবং মেয়ে বানাতে সাহায্য করে। সেই সাথে চুল, দাড়ি-গোফ এগুলো গজাতে সাহায্য করে। একটা সময় দেখা যায় এই হরমোনটিই মাথার চুলপড়তে সাহায্য করে। চুলপড়ার এই সমস্যার সমাধান অনেক ক্ষেত্রে ক্ষণিক সময়ের জন্য হয়ে থাকে। যেমন, যতদিন চুলপড়ার চিকিৎসা করছেন, যতদিন চুলের মধ্যে ঔষধ লাগাচ্ছেন এবং কিছু ঔষধ সেবন করছেন যা চুলপড়া কমাতে কাজ করছে।

কিন্তু যখনই চিকিৎসা বা ঔষধ সেবন বন্ধ করছেন তখনই আবার চুলপড়া শুরু হচ্ছে। চুলপড়া এই রোগটির ৭টা স্টেজ আছে। ১ম স্টেজে গেলে মাত্র চুলপড়া শুরু হয়। আর ৭ম স্টেজে গেলে মাথা পুরোটাই টাক হয়ে যায়। অর্থাৎ মাথায় কোন চুল থাকে না। তো প্রতি ৩-৪ বছর পর পর চুল ১ম স্টেজ থেকে ২য় স্টেজ, ২য় স্টেজ থেকে ৩য় স্টেজ এরকম ভাবে চেন্জ হতে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এভাবে চেন্জ হতে হতে ৭ম স্টেজে গেলে মাথায় টাক পরে যেতে পারে।

ছেলেদের চুলপড়া সমস্যা

সবসময় সবাই মেয়েদের চুলপড়া নিয়ে কথা বলে। কিন্তু ছেলেদের চুলপড়া নিয়ে তেমন কোন তথ্য বা আলোচনা লক্ষ্য করা যায় না। তাই আমরা আজকে ছেলেদের চুলপড়া নিয়ে আলোচনা করবো। ছেলেদের চুলপড়া অনেক ভয়ংকর সমস্যার একটি।
চুল প্রতি ৩-৪ বছর পর পর এক স্টেজ থেকে আরেক স্টেজে কনভার্ট হয়। ডার্মাটোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শে ঔষধের মাধ্যমে এই প্রোগ্রেসটাকে আটকানো সম্ভব। এখন বর্তমানে অনেক ভালো ভালো ঔষধ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে চুলপড়া সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। ঔষধ গুলোর মাধ্যমে চুলের এক স্টেজ থেকে আরেক স্টেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে এবং মেনে চলতে হবে যে, প্রতিদিনের চুলের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী।

এই যেমন চুলকে পরিষ্কার রাখা, চুলে কন্ডিশনার লাগানো, চুলে খুব বেশি চিপ চিপে করে তেল না দেওয়া, খুব বেশি কেমিক্যাল না লাগানো এবং খুব বেশি হিট না দেওয়া। কিছু থেরাপির মাধমেও এর চিকিৎসা করা যায়। যেমন, পিআরপি থেরাপি। এর মাধ্যমে কিছুটা ব্লাড নিয়ে সেখান থেকে প্লেটেলেট বের করা হয়। এই প্লেটেলেট ব্লাডের একটা উপাদান। এটা বের করার পর একদম ছোট একটা সিরিন্জ বা নিডিল দিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ইনজেকশন দেওয়া হয়।
এর মাধ্যমেও চুলপড়ার প্রতিরোধ সম্ভব এবং চুল গজায় আর চুলকে ভালো রাখা যায়। তবে সব থেকে ভালো থেরাপি সেটা হলো হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট। এটা খুবই ভালো একটা টেকনিক। এক্ষেত্র আপনার নিজের চুল পেছন থেকে সংগ্রহ করে সামনে লাগেনো হয়। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করলে আপনার নরমাল ভাবে চুল গজাবে, চুল বড় হবে, চুলকে আচড়াতে পারবেন, চুল কাটতে পারবেন। আপনার অরিজিনাল যেমন ঠিক তেমনি হবে। এই চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য আপনাকে অবশ্যই ডার্মাটোলজি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে হবে।

ঘরোয়া ভাবে চুলপড়া বন্ধ করা ও ঘন করার সহজ উপায়

তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিচে চুলপড়া সমস্যার কিছু ঘরোয়া উপায় উল্লেখ করা হলো --
অ্যালোভেরা -- আমরা জানি বহু রোগ নিরাময়ের ওষুধ হিসেবে কাজ করে অ্যালোভেরা এবং এটি ত্বকের জন্যও ভীষণ উপকারী। সেই সাথে চুলের পুষ্টি জোগাতে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এলোভেরার কোন জুড়ি নেই। অ্যালোভেরা চুলকে সতেজ করে তোলে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলকে করে মসৃণ।
এলোভেরার দুই চামচ জেল চুলের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত অন্তত এক ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুইদিন চুলে এইভাবে এলোভেরা ব্যবহার করুন তারপর দেখবেন আপনার চুল সুন্দর হবে এবং চুল পড়া কমে যাবে।

পেঁয়াজের রস -- পেঁয়াজের রস চুলের জন্য খুবই উপকারী এটা আমরা সবাই জানি। চুল পড়া কমাতে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে পেঁয়াজের রস খুবই কার্যকরী উপাদান। পেঁয়াজের রসে রয়েছে এন্টি ফাঙ্গাল এবং আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা চুলকে মজবুত করে তুলতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।সপ্তাহে অন্তত দুইদিন চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করুন। কয়েক সপ্তাহ পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এর ফলাফল।

লেবুর রস -- লেবু চুলপড়া সমাধানের একটি অন্যতম উপাদান। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তাই লেবুর রস অধিক মাত্রায় চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। লেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড, ক্ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যা চুলের খুশকি দূর করে। সপ্তাহে একদিন লেবুর রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার মাথার খুশকি দূর হয়ে গেছে।

আমলকি -- ভিটামিন সি এর অভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ে যায়। তাই আমলকিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আপনার চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়তা করবে। আমলকির রস বা আমলকির তেল চুলে পুষ্টি যোগায় এবং প্রাকৃতিক রং ধরে রাখে। কাঁচা আমলকির রসের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ রাখুন হবে তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি দ্রুত চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।

নারিকেল তেল-- অনেকেই আছেন যারা চুলে তেল লাগাতে পছন্দ করেন না। কিন্তু চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে এবং চুল পড়া কমাতে নারিকেল তেলের কোন জুরি নেই। ঘুমানোর আগে বা যে কোন সময় চুলে ১৫ মিনিট নারিকেল তেল মাসাজ করুন। তাহলে এটি আপনার চুলের স্ক্যাল্পের গভীরে প্রবেশ করবে এবং চুলের পুষ্টি জোগাবে। নারিকেল তেলের পাশাপাশি আমন্ড অয়েল এবং জোজোবা অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল তেল চুলের হারিয়ে যাওয়ার সজীবতা ফিরিয়ে আনে এবং করে তোলে সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল।

গ্রিন টি -- গ্রিন টি হল চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনোল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলকে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির হাত থেকে বাঁচায় এবং পাশাপাশি চুলের খুশকি, স্ক্যাল্পের সমস্যা, চুলের দ্রুত বৃদ্ধি এবং চুলের মাথা ফেটে যাওয়া সমস্যা দূর করে। চুলে বা স্ক্যাল্পে গ্রিন টি লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই দিন গ্রিন টি ব্যবহার করুন।

ডিম -- চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ডিম ব্যবহার করতে পারেন। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। ডিমের সাদা অংশ চুলের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে। আর ডিমের কুসুম চুলের সুযগতা দূর করে। লেবুর রসের সাথে ডিমের কুসুম মিশিয়ে স্ক্যাল্প থেকে চুলের মাথা পর্যন্ত ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। ডিমের সাথে টকদই, কলা কিংবা নারকেল তেল, মধু এবং ডিম দিয়ে বানাতে পারেন ডিমের মাস্ক। এই উপাদান মাসে দুইবার ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যাবে।

জবা ফুল -- জবা ফুলে আছে অ্যামিনো এসিড এবং ভিটামিন সি। তাই এটি চুলের রুক্ষতা এবং চুলের খুশকি দূর করতে খুবই উপকারী। নারকেল তেল এবং জবা ফুলের পাতা ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং ঠান্ডা হয়ে গেলে এই তেল ভালোভাবে মাথায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই তেল সপ্তাহ ১-২ বার ব্যবহার করলে এর সুফল আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। এই তেল বানিয়ে একমাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

যে কাজগুলো করলে চুলপড়া বন্ধ হবে না

চুল কালার করাঃ চুলকে স্টাইলিশ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে অনেকেই চুলে কালার করে থাকেন। চুল কালার করতে হলে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা। এই কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে চুলের ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং চুল পড়ে যায়। তাই চুল পরা দূর করতে সবার আগে প্রয়োজন চুল কালার না করা।
পানি পান কম করা --- পানি কম পান করলে শরীর অসুস্থতা হওয়ার পাশাপাশি চুল পড়ে যায়। প্রতিদিন পরিমাণ মতো পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায় এবং শরীর দূষণমুক্ত থাকে। কিন্তু পরিমাণ মতো পানি পান না করলে টক্সিন শরীরে থেকে যায় যার ফলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন কমে যায় এবং চুলপড়া বৃদ্ধি পায়। তাই দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন।

পর্যাপ্ত না ঘুমানো -- চুল পড়া কমাতে পানি পান করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। অনেকেই আছেন যারা রাতে দেরি করে ঘুমান এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠেন। তাই তাদের চুল পরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। সে কারণে বেশি রাত করে ঘুমানো ঠিক হবে না।

অতিরিক্ত ধুমপান -- অতিরিক্ত ধুমপান করলে শরীরের পাশাপাশি চুলেও এর প্রভাব এবং চুলপড়ে যেতে থাকে। তাই চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ধুমপান বন্ধ করতে হবে।

শরীরচর্চা না করা -- প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করুন। তাহলে আপনার মস্তিষ্কে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হবে। তাহলে আপনার শরীর এবং মন ভালো থাকবে এবং চুল পড়া কমে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটবে।

লেখকের মন্তব্যঃ চুলপড়া সমস্যার সমাধান করুন ঘরোয়া উপায়ে

প্রিয় পাঠক, চুল আমাদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুলা পড়ে গেলে চিন্তার শেষ নেই। তাই আশা করছি ওপরের পোস্টটি আপনার চুলপড়া কমাতে অনেকটাই সাহায্য করবে। তাতেই যদি কাজ না তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন ডার্মাটোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। 

আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে কিংবা আপনার কোন উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বা পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করবেন। আর্টিকেলটি পড়ে তারাও উপকৃত হতে পারে। আপনার যদি আরোও কিছু জানার ইচ্ছে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। আমরা সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্ট করবো। সুস্থ্য থাকবেন ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এসএস রাইফেল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url