জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন ২০২৫ - জরায়ু ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আর্টিকেলে স্ক্রিনশট যুক্ত করার নিয়মপ্রিয় পাঠক, জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনি হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেনে এবং জরায়ু ক্যান্সারের ভ্যাকসিন কত বছর বয়সে দিবেন, কিভাবে দিবেন এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। জরায়ু ক্যান্সার কি? ক্যান্সার কেন হয়? লক্ষণগুলো কি কি এবং এর চিকিৎসা সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
জরায়ু-ক্যান্সার-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
নিচের এই আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করেছি জরায়ু ক্যান্সার এবং জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার এছাড়াও এর সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যেগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাহলে এবার চলুন সেই সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

ভুমিকাঃ জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

জরায়ু-ক্যান্সার--সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বা জরায়ু ক্যান্সার একটি নিরবঘাতক। কারন এ রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত ব্যাক্তি সহজে বুঝতে পারেন না। জরায়ু ক্যান্সার অত্যন্ত মারাত্মক যা বিশ্বব্যাপী মহিলাদের মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বিবেচিত করা হয়।
এর কিছু লক্ষণ আছে সেগুলো প্রকাশ পেলেও অনেকেই তেমন গুরুত্ব দেন না। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) নামক এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণে জরায়ু ক্যান্সার হয়। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) এর ১০০ টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে।

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) আছে এমন কারো সাথে যৌনমিলনের ফলে এই ভাইরাস পুরুষ থেকে নারীদেহে প্রবেশ করে। তবে ভাইরাসটি প্রবেশের সাথে সাথে ক্যান্সার হয় না এটি ক্যান্সারে রুপ নিতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। তাছাড়া বাল্যবিবাহ এবং যৌনসংক্রামিত রোগের কারনেও এই ক্যানসার হতে পারে।

International Agency for Research on Cancer (IARC) -- এর ২০১৮ সালের দেওয়া তথ্যে, প্রতি বছরে বাংলাদেশে প্রায় ১২হাজার নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং প্রায় সাড়ে ছয় হাজার নারী মৃত্যুবরন করেন। সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বা জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর এত মৃত্যু হচ্ছে তবুও আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে তেমন একটা সচেতনাতা দেখা যায় না। কিন্তু আগে থেকে যদি একটু সচেতন থাকেন তাহলে খুব সহজেই জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

জরায়ু ক্যান্সারের কারণ

নিচে জরায়ু ক্যান্সারের কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো যা আগে থেকে জেনে থাকলে আপনির ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। তো কারণ গুলো জেনে নেওয়া যাক। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসঃ জরায়ু কান্সারের মূল কারন হলো হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস।গবেষণায় উঠে এসেছে ৯৯% জরায়ু ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ি হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা পিল --- জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা পিল জরায়ুতে ক্যান্সার সৃষ্টিতে অন্যতম কারন। পাঁচ বছর বা তারও দীর্ঘ সময় ধরে বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা পিল খাওয়ার ফলে জরায়ুতে ক্যান্সার হয়। বাল্যবিবাহ বা অল্পবয়সে বিয়েঃ বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাল্যবিবাহ বা অল্পবয়সে বিয়ে হলে অথবা যৌনমিলন করলে জরায়ুতে ক্যানসার হতে পারে। শুধু ক্যানসার নয় শরীরে আরো অনেক রোগ বাসা বাধতে পারে।

ডায়াবেটিস --- জরায়ুতে ক্যান্সার আক্রান্তের ঝুৃঁকিতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলারাও আছেন। এছাড়াও উচ্চ কোলেস্টেরল, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং অনুপযুক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড মাত্রার মতো অন্যান্য চিকিৎসা সমস্যাগুলি এই অবস্থার সাথে থাকতে পারে।

অল্পবয়সে গর্ভধারন --- আমাদের দেশে অধিকাংশ মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয় অল্পবয়সে। তাই তারা অল্পবয়সেই গর্ভধারন করে। অল্পবয়সে গর্ভধারনের ফলে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তার মধ্যে জরায়ু ক্যান্সার অন্যতম।

পারিবারিক ইতিহাস --- পারিবারিক ইতিহাসে পরিলক্ষিত একটি রোগের বিস্তার প্রজন্ম ধরে চলতে পারে। জরায়ুর ক্যান্সার রোগের পারিবারিক ইতিহাস সহ একজন মহিলাকেও প্রভাবিত করতে পারে। রোগের ১০% ক্ষেত্রে এমন রোগী জড়িত থাকে যাদের অবস্থার পারিবারিক রেকর্ড রয়েছে।

বহুগামিতা --- হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস যৌন মিলনের সময় পুরুষের শরীর থেকে মহিলাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই একাধিক পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক করলে জরায়ুতে ক্যানসার হতে পারে।

স্বাস্থ্যসচেতনতার অভাব --- বাংলাদেশে বেশিরভাগ মহিলারা বিশেষ করে গ্রামে যাদের বসবাস তাদের অধিকাংশই স্বাস্থ্যসচেতন না। তারা কোনো প্রকার রোগে আক্রান্ত হলে তেমন একটা গুরুত্ব দিতে চান না। যার ফলে রোগটি ধিরে ধিরে বিস্তার লাভ করে। তাই জরায়ুতে ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য স্বাস্থ্যসচেতনতা একটি বড় কারন।

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম --- পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম যা সংক্ষেপে PCOS নামেও পরিচিত। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম যৌনাঙ্গের ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ।

বংশগত কিছু কারণ --- বংশগত জেনেটিক অবস্থা, যেমন লিঞ্চ সিন্ড্রোম (বংশগত ননপলিপোসিস কলোরেক্টাল ক্যান্সার) এবং নির্দিষ্ট ধরণের বংশগত স্তন এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার সিন্ড্রোম (বিআরসিএ ১ এবং বিআরসিএ ২ জিনের মিউটেশনের কারণে), এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ক্যান্সারের আগের ইতিহাস --- যেসব মহিলার আগে স্তন, ডিম্বাশয় বা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার ছিল তাদের এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা বেশি থাকে।

জরায়ু ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ

জরায়ু ক্যান্সার হলে এর প্রাথমিক কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। লক্ষণগুলো কি কি জেনে নেওয়া যাক ---
  • তলপেট ব্যথা।
  • কোমর ব্যথা।
  • প্রসাবের সময় ব্যথা করা।
  • সহবাসের পর রক্তপাত হওয়া।
  • দুর্গন্ধ যুক্ত সাদা স্রাব বের হওয়া।
  • ঘন ঘন বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব হওয়া।
  • ক্লান্তিবোধ কিংবা অতিরিক্ত শারীরিক দুর্বলতা।
  • হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া কিংবা ওজন বেড়ে যাওয়া।
  • সহবাসে অভ্যস্ত থাকার পরেও সেই সময় ব্যথা করা।
  • পরট ফুলে থাকা কিংবা পেটে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব করা।
  • মাসিকের রাস্তায় অস্বাভাবিক এবং অনিয়মিতভাবে রক্তক্ষরণ হওয়া।

জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি ভ্যাকসিন জরায়ু ক্যানসার রোধে প্রায় ৯০% কার্যকারি। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। লন্ডনের কিংস কলেজের ক্যানসার বিষয়ক গবেষকদল এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাদের গবেষণায় প্রায় ৪৫০জন জরায়ুতে ক্যানসার আক্রান্ত মহিলা এবং প্রায় ১৭,০০০ এর বেশি ঝুঁকিকে থাকা রোগী সুস্থ্য হয়েছেন। তারা এইচপিভি ভ্যাকসিন ১১-১৩ বছর বয়সি কিশোরীদেরকে প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দেন। এছাড়াও নারিদের ৩-৫ বছর পর পর সার্ভিক্যাল ক্যানসার বা জরায়ু ক্যানসার পরিক্ষা করানোর জন্য তাগিদ দেন।

এইচপিভি ভ্যাকসিন যদি যৌন মিলন বা জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আগে নেওয়া হয় তাহলে এটি সবচেয়ে বেশি ভালো কাজ করে। আপনি যদি জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে এই ভ্যাকসিনটি আপনাকে জরায়ু ক্যানসার থেকে মুক্তি লাভ করতে সাহায্য করতে পারে না।

আশাকরি বুঝতে পেরেছেন এইপিভি ভ্যাকসিন দেওয়ার সর্বোত্তম বয়স হল ১১-১৩ বছর। তবে বিশেজ্ঞরা বলছেন এই ভ্যাকসিন ৯ বছর থেকে শুরু করে ২৬ বছর বয়স পর্যন্ত নেওয়া যায়। ২৬ বছর পার হলে এটি নির্ধারিত হয় না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৪০বছর পর্যন্ত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ভ্যাকসিন নিতে পারেন।
এইচপিভি ভ্যাকসিন আপনি যদি নিতে চান তাহলে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্ট ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই নিতে পারেন।

জরায়ু ক্যান্সারের পরীক্ষা নিরীক্ষা

কলপোস্কপি পদ্ধতির মাধ্যমে নারীদের জরায়ু পরীক্ষা করা হয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তার হাসপাতাল অথবা প্রাইভেট চেম্বারে কলপোস্কপি পরিক্ষা করে থাকেন। কলপোস্কপ (Colposcope) নামে একটি বিশেষ ক্যামেরা দ্বার জরায়ুমুখ এবং যোনিপথ সূক্ষ্মভাবে দেখা যায়। জরায়ুমুখ এবং যোনিপথের যে কোন কোন অংশ অস্বাভাবিক মনে হলে সেখান থেকে কোষ বা সেল কালেকশন করে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। যার নাম প্যাপ স্মেয়ার (Pap Smear)। জরায়ুমুখে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না তার ভায়া টেস্ট করা হয়। ভায়া টেস্ট সরকারিভাবে করা হয়।

সরকারি জেনারেল হাসপাতাল গুলোতে এই টেস্টের সুবিধা রয়েছে এবং বিনা মূল্যে করা হয়। এছাড়া বায়োপসির (Biopsy) মাধমেও নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। তাছাড়াও কলপোস্কপ (Colposcope) পরিক্ষার মাধ্যমে যৌনরোগ এবং যোনিপথের প্রদাহ সম্পর্কে ও জানা যায়। জরায়ুতে ক্যানসার ধরা পড়লে প্রাথমিক অবস্থায় জরায়ুর অপারেশন অথবা ঔষধের মাধ্যমে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্যানসার থেকে মুক্তি লাভ পাওয়া যায়। কিন্তু এই ক্যান্সার যদি জরায়ু অতিক্রম করে চারদিকে ছড়িয়ে যায় সেক্ষেত্রে কেমোথেরাপি বা বিকিরণ থেরাপির সমন্বয়ে আরো উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা

৩৫-৫৫ বছর বয়সি মহিলারা জরায়ু ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাই মহিলাদের বয়স ৩০ এর বেশি হলে অবশ্যই জরায়ু পরীক্ষা করাতে হবে। যেসব মহিলাদের ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ২৫ বছর হলেই জরায়ু মুখ পরীক্ষা করাতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, প্রতিটা জেলা সদর হাসপাতাল, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, নির্বাচিত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালে জরায়ুমুখ পরীক্ষা করা হয়। এসব হাসপাতালে আপনি জরায়ুমুখ পরিক্ষা করে দেখে নিতে পারেন আপনার জরায়ুতে ক্যানসার আছে কিনা।

সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারজানা শারমিন তার ‘ইভালুয়েশন অফ পোস্ট মেনোপজাল ব্লিডিং’ শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, মহিলাদের মাসিক বন্ধ হবার পরও রক্তক্ষরণ হলে তাকে পোস্ট মেনোপজাল ব্লিডিং বলে এবং এটা নারী স্বাস্থ্যের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়।

সাধারণত ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই রক্তক্ষরণের কারণটা স্বাভাবিক কিন্তু ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এটা জরায়ুর ক্যান্সারের জন্য হয়ে থাকে। তাই প্রত্যেক মহিলাকে মাসিক বন্ধ হবার পরও এরকম রক্তক্ষরণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো পরীক্ষা নিরীক্ষা ও চিকিৎসা নেয়া উচিত।

কারণ মহিলাদের জরায়ুর ক্যান্সার জটিলতা বা সমস্যা তৈরি করবার আগেই ধরা পড়লে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই যেসব মহিলাদের জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকিতে পড়বার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদেরকে মাসিক বন্ধ হবার পরও নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে ও ফলোআপে থাকা উচিত।

জরায়ুতে ক্যানসার ধরা পড়লে রোগীর চিকিৎসা নির্ভর করে ক্যানসারটি কোন স্টেজে আছে তা জানার পর। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার সনাক্ত হলে তা অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায় এবং ৪র্থ পর্যায়ের জরায়ুর ক্যান্সা হলে রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।

পরিক্ষা করে ক্যানসার ধরা পড়লে প্রতিটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জরায়ুর মুখের ক্যানসারপূর্ব অবস্থায় চিকিৎসা কর হয়। তার জন্য রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় না।
ক্যানসারপূর্ব অবস্থা ধরা পড়লে সামান্য চিকিৎসার মাধ্যমেই কিন্তু ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এজন্য জরায়ু ফেলে দেবার কোন প্রয়োজন হয় না এবং চিকিৎসার পর সন্তান ধারণ সম্ভব হয়।

লেখকের মন্তব্য -- জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক, আমরা আজকে ওপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম জরায়ুতে ক্যান্সার হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস, ৫ বছরের বেশি সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, বহুগামিতা, অল্পবয়সে বিয়ে, স্বাস্থ্যসচেতনতা এবং অল্পবয়সে গর্ভধারণ ইত্যাদি কারনে হয়ে থাকে। তাই জরায়ুতে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ওপরের বিবেচ্য বিষয় গুলোর প্রতি আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। সেই সাথে সময়মতো ভ্যাকসিন বা টিকা গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করানো, চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চলা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হলে জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

জরায়ুতে ক্যানসার হলে একদিকে মৃত্যুঝুঁকি এবং অন্যদিকে ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ। তাই জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধ সর্বোত্তম পন্থা। আরও বিস্তারিত জানতে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে কিংবা আপনার কোন উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বা পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করবেন। আর্টিকেলটি পড়ে তারাও উপকৃত হতে পারে। আপনার যদি আরোও কিছু জানার ইচ্ছে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্ট করবো সেগুলোও জানানোর।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এসএস রাইফেল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url